ফেসবুক পেইজ (কমার্সিয়াল) এর মালিকদের কে বলছি

২০১৭ সালে কানাডা ভিত্তিক এক প্রতিষ্ঠানের জরিপে উঠে আসে ঢাকা ফেসবুক এর সক্রিয় ব্যবহারকারীদের মধ্যে ২য়, এবং সংখ্যায় ২ কোটি ২০ লক্ষ, বর্তমান সংখ্যাটি ৩ কোটি বা তারওবেশি। এই বিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারীদের ঘিরেই গড়ে উঠেছে চাহিদা, আর তাই প্রতিদিন-ই আসছে নতুন নতুন সার্ভিস, ওপেন হচ্ছে নুতন নুতন পেইজ। আর আপনার আমার মত অনলাইন ব্যবসায়ী একদল লোক জেনে না জেনেই এফ কমার্সে জড়াচ্ছেন। আমরা হয়তো অনেকে এটা যে এফ কমার্স সেটা ই জানিনা। খেয়ালের বসে অমুক তমুক ভাবির পেইজের পারফর্মেন্স দেখে নিজেও পেইজ খুলে বসেছেন। অথচ আপনি জানেন না ভাবিরা আপনার চেয়ে অনেক বেশি পরিশ্রম, সময়, চাহিদার বিশ্লেষণ বা ভবিষ্যৎ এ এর ট্রেন্ড কি হবে সেটা খুব ভালো ভাবেই করেন,জানেন। তারা ভ্যালু ক্রিয়েট করেছে। দেশ বিদেশ ঘুরে পন্য সংগ্রহ করে লাইভে আসছে। আর আপনি তাদের কে অনুসরণ করছেন অন্ধের মত সমমান অথবা কম মানের পন্য নিয়ে।

মার্কেটিং এর সংজ্ঞায় বলা আছে আপনাকে প্রতিযোগিদের তুলনায় উত্তম পন্য বা সেবা দিতে হবে। অথচ সেই ভাবীরা প্রতিষ্ঠিত বাজারজাতকারী। আর অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠিত দের সাথে আপনি প্রতিযোগী হিসেবে ভোক্তা বাড়তি কিছু নুতন কিছু কি দিতে পারছেন? ভেবে দেখেছেন? হ্যাঁ যারা এপারেলস / জামাকাপড় নিয়ে পেইজ খুলেছেন তাদের কে বেশি বলছি।
কারণ আমার দেখা মতে কাপড় চোপড় নিয়ে যত পেইজ আছে মাঝে মাঝে ভাবি তত কাপড়ের দোকান আছে কিনা সন্দেহ। থাকতে পারে, অবশ্যই আছে। কিন্তু কৌশলহীন পেইজ খুলে তাতে চাহিদা অনুযায়ী বা বেশি সুবিধা সম্বলিত পন্য না দিয়ে আপনি হতাশ ছাড়া কি হবেন। আপনার সল্প সার্কেলে ইনভাইটেশন পাঠিয়েই কি আপনার সফলতা আসবে?
আপনি ভাবছেন সফলতা পাচ্ছেনা?
হ্যা পাচ্ছে যারা পাচ্ছে তাদেরকে দেখুন তাদের কাছে শিখুন কিছু নতুনত্ব আনুন।
ফেসবুকে ভোক্তারা কি কি বেশি কিনে দেখুন আপনার দক্ষতা কিসে সেটা ম্যাচ করুন। ২০১৫ সালে এমাজন বিক্র‍য় আয়ের দিকে ওয়ালমার্ট কে ছাড়িয়ে গিয়েছিল কারণ সে সব পন্যের জন্য নয় নির্দিস্ট পন্যের চাহিদা ঠিকমত বাজারজাত করেছিল যদিও তাদের সব ক্যাটাগরিতে পন্য আছে।

সবচেয়ে ভালো হয় এফ কমার্স এর ব্যাসিক টা ভালো করে জেনে নিন, এরপর চাহিদা নিরুপণ করে বাজারে অন্যরা অফলাইন বা অনলাইনে কি দিচ্ছেনা তাদের গ্যাপ কোথায় সেটা খুজে বের করেন।সেবা মুলক ব্যবসায় অনলাইন চাহিদা আছে। এমন একটা নাম দিন যেটা ভবিষ্যৎ এ আপনার ক্যাটাগরি বাড়াতে ঝামেলা করবে না। যেমন পাঞ্জাবি.কম দিলে দুদিন পর শাড়ি তুললে দিলে ঠিক হবে না। প্রতিশ্রুতি দিলে ভোক্তাদের সে অনুযায়ী সেবা দিতে মডেল রেডি করুন। কুরিয়ার সার্ভিস এর বিষয় মাথায় রাখুন। বিক্রয়োত্তর সেবায় মনোযোগী হউন।
আর বিজ্ঞাপন এর বিষয়টাও মাথায় রাখতে হবে লাইক করেন্ট শেয়ার যাতে বেশি হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হয়।
এছাড়া প্যাকেজিং আইন, মেয়াদের বিষয়, ভোক্তা অধিকার আইন এ বিষয়সমুহেও জ্ঞান থাকা উত্তম।
এ তো গেল নুতন যারা শুরু করেছেন বা করবেন তাদের বিষয়, এছাড়া পন্যের ছবি, দাম, লাইভে আসা সহ শ খানেক বিষয় আছে যারা মাঝপথে আছেন তাদের, সেই আলোচনা এখনে নয়।
যাই করেন না কেন খুব সিরিয়াসলি করেন, চোখ কান খোলা রাখেন, নিজের পন্য বা সেবা আলাদা করে উপস্থাপন করুন।

আমি চেস্টা করেছি নন প্রফেশনালদের / নন মার্কেটিয়ার দের জন্য সাধারণ ভাষায় লেখার কাজেই যারা প্রফেসনাল তারা হয়তো অনেক ভুল খুজে পাবে। এখনো শিখেই চলছি।

“জয় হোক সকল অনলাইন উদ্যোক্তাদের”

মিরাজ সরকার
মার্কেটিং ১৬ তম ব্যাচ, ডি ইউ

Share this article
Shareable URL
Prev Post

PRAN UP Press AD

Next Post

Bkash Tax Return Payment – Press Ad

Read next

বিকল্প ধারার বিজ্ঞাপন প্লাটফর্মঃ টেলিভিশন চ্যানেল বনাম সামাজিক মাধ্যম

একটা সময় ছিলো লাখ লাখ টাকা খরচ করে মেইনস্ট্রিম মিডিয়াতে বিজ্ঞাপন দেয়া ছাড়া গত্যন্তর ছিলো না। টিভি চ্যানেলগুলোতে…
0
Share